মানুষের বাচ্চার মতো বেড়ালের বাচ্চারও যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। আপনার বিড়াল-বাচ্চা যে কোনও মানব শিশুর চেয়ে ১৫ গুণ দ্রুত বাড়ে। এমনকি প্রাপ্তবয়স্ক বিড়ালের চেয়ে বাচ্চা বিড়ালের এনার্জিও থাকে অনেক বেশি। যদি আপনার বিড়াল বাচ্চার জীবনের শুরু ঠিকঠাক করতে চান, তা হলে তাকে শুরু থেকেই পুষ্টিকর সুষম খাদ্য খেতে দিন। আর ঠিক এই কারণেই ও আপনাকে ভালোবাসতে শুরু করবে। কারণ মায়ের দুধ ছাড়ানোর পর থেকেই সব কিছুর জন্য আপনারই মুখাপেক্ষী হয়ে থাকবে। এই সব কিছুর মানে হল যত্ন এবং সেরা খাদ্য।
ওর জীবনের প্রথম চার-পাঁচ সপ্তাহ যা যা প্রয়োজন তা ওর মায়ের কাছ থেকেই পায়। ও যদি যথেষ্ট পরিমানে মায়ের কাছ থেকে দুধ না পায় তাহলে ও কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। এরকম পরিস্থিতি তৈরি হলে আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। মায়ের দুধ খাওয়ার কোনও সমস্যা না থাকলে, বাচ্চার বয়স সাত মাস হলেই মায়ের দুধ থেকে সে সরে আসে। এমনকী চার সপ্তাহ এ8বয়স থেকেই সে অল্প অল্প শক্ত খাবার খেতে শুরু করে। এই খাবার অবশ্য বাজারজাত খাদ্য হওয়াই শ্রেয়। প্রথমেই এই খাবার কিছুটা প্লেটে ছড়িয়ে দিন, যাতে ও জিভ দিয়ে চেটে দেখতে পারে এবং বুঝতে পারে খাবারের স্বাদ কেমন। তারপর ধীরে ধীরে খাবারের পরিমাণ বাড়াতে থাকুন। লক্ষ্য রাখবেন খাওয়ার সময় যেন টাটকা জল তার জলের পাত্রে থাকে।
ছোট্ট পেট, খিদে প্রচুর:
আপনার বিড়াল বাচ্চা যে কোনও মানব শিশুর চেয়ে ১৫ গুণ দ্রুত বাড়ে। কিছুদিনের মধ্যে আপনি বুঝে যাবেন যে কোনও প্রাপ্তবয়স্ক বিড়ালের চেয়ে বাচ্চা বিড়ালের এনার্জি অনেক বেশি। আমাদের বুড়ো আঙুলের মতো ওর পেটের মাপ বলেই সে একবারে অনেকটা খেতে পারেনা। তাই তাকে শুরুর দিকে অল্প অল্প করে দিনে অন্তত ছয় বার খেতে দিন। বাজারজাত এই কিটেন ফুড তৈরিই করা হয় বাচ্চা বিড়ালের পুষ্টির সমস্ত চাহিদার কথা ভেবেই।
বাচ্চা অবস্থা থেকে প্রাপ্তবয়স্ক বিড়াল:
চার মাস বয়স হলে তাকে বাজারজাত কিটেন ফুডের পাউচ প্রতিবার একটি করে দিন। একটি পাউচেই তার প্রয়োজনীয় ক্যালোরি, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম সে পাবে। এর মধ্যে ছোট টুকরো মাংস থাকে যা তার ছোট দাঁত , ছোট মুখ এবং ছোট পেটের পক্ষে যথেষ্ট। এই সময় থেকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত তাকে দিনে তিন-চারবার খেতে দেওয়া উচিত। দশ থেকে বারো মাস বয়স হলেই সে আর বাচ্চা থাকবেনা , হয়ে পড়বে প্রাপ্তবয়স্ক বিড়াল।
ঠিকভাবে খাওয়ানোর পদ্ধতি:
রুম টেম্পারেচারে খাবার দিন। তার খাবার এবং জলের জন্য যেন আলাদা পাত্র থাকে। সব সময় টাটকা জল দেবেন। খাবার বদলাতে চাইলে তা ধীরে ধীরে বদল করুন। আপনি যা খান তা খেতে দেবেন না।
শুকনো এবং ভিজে খাবার:
আপনার বিড়ালকে স্বাস্থ্যসম্মত রাখতে হলে বাজারজাত শুকনো এবং ভিজে ক্যাটফুড মিশিয়ে খাওয়ান।